আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয়

আপনি কি আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে। তাই আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয়
নিচে আপনাদের জন্য আম গাছের কীটনাশক, কিভাবে আম গাছের পরিচর্যা করতে হয় এবং আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় কি জানতে পারবেন। তাই দেরি না করে আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।

পেজ সূচিপত্রঃ আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয়

আম গাছের কীটনাশক

আম গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়। সেগুলো থেকে আম গাছকে এবং আম ফল কে রক্ষা করতে অবশ্যই কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। এখন কথা হচ্ছে কোন ধরনের কীটনাশক আম গাছের জন্য ভালো হবে। আম গাছে এক ধরনের পোকা থাকে তার নাম হচ্ছে হোপার পোকা যা অনেক ধরনের ক্ষতি করে। তাই এই শোষক বা হোপার পোকা দমনে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
কুমুলাস ডিএফ, থিওভিট ইত্যাদি ছত্রাক নাশক ও প্রয়োগ করা যেতে পারে। আবার আম গাছে কিছু প্রকার আক্রমণ দেখা যায় যখন আম ধরতে শুরু করে। এইসব পোকা গুলো হচ্ছে ছিদ্রকারী পোকা। তাই এইসব পোকা দমনে কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। এ ধরনের পোকা দমনের জন্য ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক সুমিথিয়ন বা ফলিথিয়ন ২০ মিলি. প্রয়োগ করা যাবে।

কিভাবে আম গাছের পরিচর্যা করতে হয়

আমের ভালো ফোন থেকে অবশ্যই আম গাছের পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা ব্যথিত আমের ভালো ফলন আশা করা যায় না। আবার পরিচর্যা ব্যতীত একটি সুস্থ সবল এবং ফলবান গাছ আশা করা যায় না। তাই একটি সুস্থ সবল এবং ফলবান গাছ পেতে এবং আমের ভালো ফলন পেতে অবশ্যই আম গাছের পরিচর্যা করতে হবে। চলুন জেনে নিন যে কিভাবে আম গাছের পরিচর্যা করবেন।
বর্ষা শেষে দেখা যায় যে আম গাছের গোড়ায় অনেক ঘাস জন্ম নেই। সেই ঘাসগুলো কেটে পরিষ্কার করতে হবে এবং একটু দূরে দিয়ে মাটি খুঁড়তে হবে এবং সার প্রয়োগ করতে হবে। এখানে সবচেয়ে বেশি জৈব সার প্রয়োগ করলে ভালো হয় তবে রাসায়নিক ইদানিং প্রয়োগ করা হচ্ছে। সার প্রয়োগের দুই সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। আবার আম গাছে মুকুল আশার এক দেড় মাস আগে জৈব সার এবং রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে।

আবার আম গাছে দেখা যায় যে ফল বিনষ্টকারী বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আবির্ভাব ঘটে। সেই পোকামাকড় গুলো দূর করতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। পোকামাকড় দমনে কি ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে সে সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আম গাছের পোকা দমন করতে হলে প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বানিল এবং প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ম্যানকোজেব স্প্রে করতে হবে আম গাছে। এভাবে আম গাছের পরিচর্যা করতে হবে।

আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয়

আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় হচ্ছে আম গাছের পরিচর্যা নেওয়া। আম গাছের ভালো পরিচর্যা ব্যাতীত আমের ভালো ফলন আশা করা যায় না। তাই ছোট থেকেই আম গাছের পরিচর্যা নিতে হবে। যেন সুস্থ সবল এবং ফলবান গাছ তৈরি হয়। কিভাবে আম গাছের পরিচর্যা নিতে হয় সে সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে পড়ে আসেন তাহলে অবশ্যই জেনে যাওয়ার কথা।
আম গাছের গোড়ায় যেসব আগাছা থাকে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে এবং একটু দূর দিয়ে মাটি খুঁড়ে সেখানে জৈব সার এবং কিছু রাসায়নিক সার ও প্রয়োগ করা যেতে পারে। সার প্রয়োগের পর যদি দুই সপ্তাহ বৃষ্টি না হয় তাহলে সেচ দিতে হবে। আবার আম গাছের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই এবং পোকামাকড় আক্রমণ করে। সেগুলো থেকে আম গাছকে রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। কি ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করবেন তা উপরে বলা হয়েছে। এভাবে পরিচর্যা নিলে আমের ভালো ফলন নিশ্চিত হবে।

আম গাছের ছত্রাক নাশক ঔষধ

আম গাছে যখন মুকুল আসে তখন দেখা যায় যে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক আক্রমণ করে এবং আমের মুকুল নষ্ট করে ফেলে। তাই আমের মুকুলকে রক্ষা করতে ছত্রাক দমন করতে ছত্রাক নাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। আমের মুকুলের ছত্রাক দমন করতে হলে ম্যানকজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। রিডোমিল গোল্ড বা ডায়থেন এম -৪৫ বা পেনকোজেব ইত্যাদি নির্দিষ্ট মাত্রায় আমের মুকুল হওয়ার সময় একবার প্রয়োগ করতে হবে এবং আম গুটি অবস্থায় আরেকবার প্রয়োগ করতে হবে।

আমের দাদ রোগ

দাদ রোগ হচ্ছে আমের এক ধরনের রোগ যা আমের গুটি অবস্থায় হয়ে ঝড়ে পড়ে যায়। আই দাদ রোগ হলে আম গাছে টিকে থাকে না। তাই এই রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। এই রোগ প্রতিরোধ করতে সময়মতো আম গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখতে হবে। আম গাছ থেকে ঝরে যাওয়া গুটিগুলো পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কার্বানিল এবং প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ম্যানকোজেব স্প্রে করতে হবে আম গাছে। আর বাগান অপরিষ্কার রাখা যাবে না তাহলেই আমের দাদ রোগ প্রতিরোধ করা যাবে।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে করণীয় ছাড়াও জানতে পেরেছেন আমের দাদ রোগ এবং আম গাছের ছত্রাক নাশক ঔষধ ইত্যাদি অনেক বিষয় সম্পর্কে। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, তাই এধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন, ধন্যবাদ। 21021.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url