রুট ক্যানেল করার নিয়ম - রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস

দাঁতের সমস্যাকে মেরামতের জন্য আপনার কি রুট ক্যানেল করার নিয়ম জানা আছে। এই পোস্টে রুট ক্যানেল করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। নিয়ম জানা না থাকলে রুট ক্যানেল করার নিয়ম সম্পর্কে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জেনে নিন। দাঁতের সমস্যা কোন পর্যায়ে গেলে রুট ক্যানেল দরকার তা আপনার জানা থাকা প্রয়োজন।
কারণ রুট ক্যানেল সমস্যা একেকজনের একেক রকম হতে পারে। রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস আপনার জানা থাকলে দাঁতের যেকোন সমস্যায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। রুট ক্যানেল করার পরেও দাঁতে ব্যথা হতে পারে সাময়িকের জন্য। আঘাতের ফলে যদি আপনার দাঁতে চোট লাগে তাহলে চিকিৎসক আপনাকে রুট ক্যানেল পরামর্শ দিতে পারে।

পেইজ সূচিপত্র

রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয়

আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জানা না থাকলে যদি দাঁতের সমস্যা থাকে সেই সমস্যা নিয়ে আপনি যদি চিকিৎসকের কাছে যেয়ে থাকেন, পরে আপনাকে রুট ক্যানেল এর পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয় তা জেনে রুট ক্যানেল করতে পারেন। রুট ক্যানেল মূলত দাঁতে শিরশির করা এবং গরম এবং ঠান্ডা খাবারের প্রতি সংবেদনশীল ভাব চলে আসে এবং হালকা ব্যথাও সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুনঃ রাকৃতিকভাবে সুন্দর থাকার উপায়

কিন্তু এই সমস্যার ফলে দাঁত যখন শিথিল হয়ে যায় তখন রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয় তা না জেনে রুট ক্যানেলের পর এই ব্যথা ধীরে ধীরে চলে যায়। যখন রুট ক্যানেল গরম হয়ে যাবে তখন এই রুট ক্যানেল দেন্টিস্ট আপনাকে দশ থেকে পনের বছরের কথা বলতে পারে। আপনি যদি রুট ক্যানেল করার পরে দাঁতের যত্ন নিতে পারেন তাহলে এটি আজীবন ভালোও থাকতে পারে।

রুট ক্যানেল এর খরচ

রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস করতে পারাটা আপনার দাঁতের জন্য খুবই ভালো একটি বিষয় যে আপনার দাঁত সব সময় নিরাপদে থাকতে পারে। ফ্রুট রুট ক্যানেল এর খরচ একটু বেশিই হতে পারে বিশেষ করে আপনার সরঞ্জামের উপাদানের উপর নির্ভর করে এই খরচ একটু বেশি বা কম লাগতে পারে।

রুট ক্যানেল করার নিয়ম সম্পূর্ণ করতে রুট ক্যানেল এর খরচ আপনার দশ হাজার টাকাও লাগতে পারে অথবা এই খরচের চেয়েও আরও বেশি খরচ দরকার পরতে পারে। আপনি যদি আপনার দাঁতই ফেলে দেন তাহলে ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না। মাঝে মাঝে দেখা যাবে পরিমাণের চেয়েও কম খাওয়া দাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।

যার ফলে আপনার শরীরের স্বাস্থ্যও ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করবে। ভাই আপনি যদি একটু নিজের সৌন্দর্যকে স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে রুট ক্যানেল করাটাই আপনার জন্য ভালো হবে। দাঁতের সমস্যাকে দূর করে আপনার নিজেকে একটু আরাম দিতে রুট ক্যানেল খুব কার্যকরী একটি চিকিৎসা।

কখন দাঁতে রুট ক্যানেল করবেন

আপনার যদি দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় সেই সমস্যাকে নির্ণয় করে আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রোগের ধরন অনুযায়ী ডেন্টিস্ট আপনাকে রুট ক্যানেল করার কথা বলতে পারে। দাঁতে রুট ক্যানেল করার জন্য চিকিৎসক আপনাকে অনেক কারণেই বলতে পারে তার মধ্যে হলো কিছু কারণ বিদ্যমান রয়েছে যেমন,

  • দাঁতে যদি কোন কারণে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় আর সেগুলো যদি আপনার পুরো দাঁতে ছড়িয়ে পড়ে।
  • দাঁতের ভিতরের অংশে সংক্রমণ বেড়ে যেয়ে মাড়িও ফোলে যেতে পারে এই সময় যদি পর্যাপ্ত রক্তপাত হয়।
  • ছোট ছোট অনেক গর্ত যদি আপনার দাঁতের গভীরে পাওয়া যায়।
  • মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খেলে যদি আপনার দাঁতে ব্যথা অনুভব হয়।
  • দাঁতের আশেপাশের বিভিন্ন স্নায়ুমজ্জা যদি ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে রুট ক্যানেল করার দরকার পরতে পারে।
  • অনেক সময় আপনার দাঁতের সাদা অংশে কালো কালো হয়ে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে যায়, এখন সেগুলোকে অপসারণ করে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হয়।
  • দাঁতের গোড়ায় গর্ত হয়ে যেয়ে অনেক সময় পুঁজ হয়ে যায় যা মুখে দুর্গন্ধেরও সৃষ্টি করে থাকে।
  • বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় যখন দাঁত আক্রান্ত হয়ে যায় তখন সে আক্রান্তকে দূর করে দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে রুট ক্যানেল।
  • যার জন্য সমস্যা হলেই ডেন্টিস্টের কাছে খুব দ্রুত চলে যাবেন এবং এই সমস্যাগুলোর মাধ্যমে ডেন্টিস্ট নির্ণয় করবেন যে আপনার রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন আছে কিনা।

রুট ক্যানেল সার্জারি কিভাবে করবেন

আপনার দাঁত যদি পূর্ব থেকেই রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রুট ক্যানেল করা হয়ে যায়, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেই দাঁতকে তুলতে গেলে অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয়। আপনার যদি দাঁতের সেই সংক্রমণ আপনি এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

দাঁতের ভিতরে যদি কোন কারনে সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে আপনার মাড়ি ফোলে যেতে পারে। এই সময় আপনার দাঁতের কোনায় যেই রক্তনালী এবং স্নায়ু রয়েছে তার মাঝখানে স্ফীত সৃষ্টি হয়। এই সময় আপনি চাইলে আপনার দাঁতকে ফেলেও দিতে পারেন অথবা রুট ক্যানেল এর মাধ্যমে আপনার দাঁতকে নিরাপদেও রাখতে পারেন।

দাঁতকে না তুলার জন্যে রূট ক্যানেল এর ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘদিনের ফোলা ভাব এবং ব্যথাকে দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন ডেন্টিস্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। রুট ক্যানেল মাঝে মাঝে ঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে তবে বেশিরভাগই যদি আপনি যত্নে রাখতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নাও হতে পারে।

তাই আপনি যখন রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রুট ক্যানেল আপনার দাঁতে করাবেন তখন আপনার পাশের দাঁত যেন কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই ব্যাপারে আপনাকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কোন কারনে আপনার রূট ক্যানেল করা দাঁতকে তুলতে হয় তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে যা পূর্বের চেয়েও দ্বিগুণ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ কেন রোজ অবশ্যই বেদানা খাওয়া দরকার

যখনই আপনার দাঁতে রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস করা হবে তখন আপনাকে দুইটা ইঞ্জেকশন দিতে পারে। ইনজেকশন দেওয়ার পরেও যদি আপনার মাড়িতে ফোলা ভাব সৃষ্টি হয় এবং চোয়ালে ব্যথা করতে থাকে তাহলে সমস্যা আরো বেশি রয়েছে বুঝতে হবে। কারণ আপনার যখন রুট ক্যানেল সার্জারি করা হবে।

তখনও যদি এই ফোলাভাব থাকে তাহলে সেটা কখনোই স্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। নিশ্চয়ই আপনার রুটের কোন ফাঁক দিয়ে সংক্রমনের ঝুঁকি থেকেই যায়। একবার রুট ক্যানেল করানো হলে সেই রাতে যদি আবারও সংক্রমণ হয় তাহলে সেটি সারানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

তাই আপনি যখন প্রথমে ডেন্টিস্ট চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন আপনাকে একটি এক্সরে করানো হতে পারে। আপনার রুট ক্যানেল সার্জারি হয়ে যাওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে ওষুধগুলো নিয়মিত খেতে হবে। কখনোই আপনাকে শক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা এবং জোরে জোরে ব্রাশ করা যাবে না।

হালকা গরম পানি দিয়ে লবণ মিশিয়ে রুট ক্যানেল করার নিয়ম এ কুলি করতে হবে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার। তাই আপনাকে সব সময়ই রুট ক্যানেল সার্জারি করানোর পর থেকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। তাই আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহকারে খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনভাবেই কোন ধরনের সংক্রমণ আপনার রুট ক্যানেল করা সার্জারির দাঁতে না হয়।

রুট ক্যানেলের সময় ক্যাপ লাগানো কি গুরুত্বপূর্ণ

রুট ক্যানেল করানোর সময় আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে দাঁতে ক্যাপ লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস এই ক্যাপের প্রয়োজনীয়তা এতটাই বেশি হয়ে থাকে যে আপনাকে সব দিক থেকে এটি নিরাপদ রাখে।

রুট ক্যানেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল এটি ব্যথা এবং ইনফেকশন হওয়া থেকে আপনাকে বাচায়। আপনার দাঁতের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কয়েকটি কারণে এই রুট ক্যানেল করানোর পর ক্যাপ করাতেই হয়।

১। আপনার দাঁতের সমস্যা থাকলে অবশ্যই আপনার দাঁতে রুট ক্যানেল করাতে হবে তাই আপনার দাঁতের যদি গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ নষ্ট হয়ে যায় তাহলে অনেকেই শুধুমাত্র রুট ক্যানেল করে রেখে দেন। দাঁতের একটি অংশ দেখা যায় হঠাৎ করেই কামড় লেগে ভেঙ্গে গেল।

২। যদি কোন কারনে গর্ত হয়ে যায় অথবা ক্ষয় হয়ে যায়, তাহলে এটি খুব সহজেই ভেঙে যেতে পারে। কারণ প্রতিটি দাঁতেরই একটি নির্দিষ্ট শক্তি রয়েছে সেই শক্তিটি যখন দাঁত হারিয়ে ফেলে তখনই অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ফলে দাঁত ভেঙে যায়।

৩। আর সেই সময়ে ক্যাপের কাজ হচ্ছে আপনার দাঁতের কামড়ের ফলে যেই শক্তি দরকার হয় সেই শক্তি দুর্বল অংশ থেকে জোরে জোরে চাপ দেয় যেন দাঁত ভেঙে না যায়। অর্থাৎ, পাশাপাশি আপনার যেই ভাল দাঁতগুলো রয়েছে সেগুলো যেহেতু অক্ষত থেকে যায় তাই দীর্ঘদিন সেগুলো ভালো থাকে।

৪। আরেকটি অন্যতম কারণ হচ্ছে আপনার রুট ক্যানেল এর দাঁতের ভেতরের দিকে এক ধরনের মজ্জা বা পাল্প থাকে। সেই মজ্জা বা পাল্পই যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন পানির অভাবের ফলে ধীরে ধীরে এটি শুকিয়ে যেতে থাকে এবং ক্ষয় হয়ে যায়।

৫। রুট ক্যানেল যদিও দাঁতের ইনফেকশন ও ব্যথাকে সারাতে না পারলেও এর একটি বিশেষ গুনাগুন হচ্ছে এটি নিউট্রিশন ও পানিজাতীয় জিনিসকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে।

৬। রুট ক্যানেল করার নিয়ম না জানলে ডেন্টিন খুব সহজেই নষ্ট হবার আশঙ্কা থাকে যার ফলে এটিকে টিকিয়ে রাখতে ক্যাপের অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই রুট ক্যানেল করার সময় অবশ্যই ক্যাপ লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রুট ক্যানেলে ক্যাপ লাগালে পাশের দাঁতে কি সমস্যা হয়

আপনার যদি দাঁতে রুট ক্যানেল করা হয় তাহলে ক্যাপ লাগাতে হবে। রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে ক্যাপ লাগানোর জন্য আপনার অন্য কোন দাঁতকে তুলে ফেলে দিতে হবে না। আপনি যে দাঁতের জন্য ক্যাপ পরাবেন সেই দাঁতের স্নায়ু থেকে এক ধরনের মৃত করে ছোট করে তার উপরে ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালির জয়েন্টে ব্যথা - পায়ের জয়েন্ট মচকে গিয়ে ইনজুরি

যদি কোনো কারনে ক্যাপ পরানোর সময় দাঁতই না থাকে তাহলে আপনার পাশের যেটি রয়েছে সেটিকে নষ্ট করে ফেলা হয় এবং একসাথে দুইটা দাঁতকে ক্যাপ বসিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং রুট ক্যানেলে যদি কোনো কারণে গ্যাপ লাগানোর প্রয়োজন হয় তাহলে পাশের দাঁতে কোনরকম সমস্যা হয় না।

রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস

আপনি যদি আপনার রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টকে শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই শুরু করার পূর্বে আপনার সেই ক্ষতিগ্রস্ত দাঁতের একটি এক্সরে করা লাগতে পারে। কারণ একটি সঠিক রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আপনি আপনার দাঁতের সমস্যাকে দূর করতে পারেন। রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হয় যেমন,

১। অবশ করে ফেলাঃ
প্রথমে আপনার দাঁতের আশেপাশের মাড়িকে অসাড় করে ফেলা হয় অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে। আপনাকে ভালো রাখার জন্য আপনার ব্যথাকে কমানোর জন্য আপনার দাঁতের গোড়া অবশ করা হয়। দাঁতের চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয় যেমন নাইট্রাস অক্সাইড, ওরাল সেডেটিপস।

২। ডেন্টাল বাঁধ বসানোঃ
আপনার রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস যখন শুরু করে দেওয়া হয় তখন সেই দাঁতের ওপরে একটি ছোট রাবার ড্যাম বসিয়ে দেওয়া হয় যার ফলে আপনার দাঁতটি সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে এবং প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে শুষ্ক হয়ে সম্পন্ন হয়।

৩। অতিরিক্ত গর্তঃ
রুট ক্যানেল করার নিয়ম এর এই পর্যায়ে যদি অতিরিক্ত কোন গর্ত থেকে থাকে তাহলে এর পরে সজ্জা এক্সেস করে দেওয়ার পরে দাঁতের যেই মুকুট থাকে সেখানে একটি ছোট খোলার তৈরি করে দেয়া হয়।

৪। সজ্জা অপসারণ করাঃ
আপনার যেই দাঁতে রুট ক্যানেল করার নিয়ম অনুযায়ী আপনি রুট ক্যানেল করছেন সেই দাঁতের ভিতরে যদি স্নায়ু এবং রক্তনালী অথবা টিস্যু অবসারণ করা হয় তাহলে তাদের ক্ষুদ্র ছোট ছোট বিভিন্ন সরঞ্জামদি ব্যবহার করতে হয়।

৫। খালগুলিকে আকার দেওয়াঃ
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস এই যদি আপনার দাঁতে একবার সজ্জা সরিয়ে ফেলা হয়, তাহলে পাল্প চেম্বার এবং রুটগুলোকে পরিষ্কারভাবে জীবাণুমুক্ত করে একটি ভালোভাবে আকার দিতে হয়।

৬। খাল ভরাট করে ফেলাঃ
এখানে খালি খালগুলি যখন অত্যন্ত নমনীয় হয়ে যায় তখন রাবারই দাঁতের যে উপাদান গুলো রয়েছে সেগুলো দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয় এক কথায় তাদেরকে গুট্টা পারচাও বলে।

৭। দাঁতকে সিল করাঃ
এই অবস্থায় আপনার দাঁতকে সিল করে ফেলা হয় তাতে করে কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়া পুনরায় ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। এখানে একটি অস্থায়ীভাবে ডেন্টাল ফিলিং স্থাপন করে ফেলা হয়।

৮। চূড়ান্তভাবে পুনঃস্থাপনঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনার রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস এর করা দাঁতগুলোতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন আপনার দাঁতে যদি কোন কারণে আবার ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে দাঁতের ক্যাপ পরানো প্রয়োজন হয়ে পড়ে। 

সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগে রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস এর এই মুকুটটি প্রস্তুত হতে। মুকুটটি প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনার দাঁতে লাগিয়ে দেওয়া হয় যার ফলে আপনার দাঁত সুরক্ষিত থাকে।

শেষকথা

আশা করছি, রুট ক্যানেল করার নিয়ম এবং রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টের স্টেপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে বিস্তারিত ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টের নিচের অংশে মন্তব্য করুন। আপনার আশেপাশে যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের রুট ক্যানেল এর ব্যাপারে সচেতন করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url