রুট ক্যানেল করার নিয়ম - রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস
পেইজ সূচিপত্র
- রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয়
- রুট ক্যানেল এর খরচ
- কখন দাঁতে রুট ক্যানেল করবেন
- রুট ক্যানেল সার্জারি কিভাবে করবেন
- রুট ক্যানেলের সময় ক্যাপ লাগানো কি গুরুত্বপূর্ণ
- রুট ক্যানেলে ক্যাপ লাগালে পাশের দাঁতে কি সমস্যা হয়
- রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস
- শেষকথা
রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয়
আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জানা না থাকলে যদি দাঁতের সমস্যা থাকে সেই সমস্যা নিয়ে আপনি যদি চিকিৎসকের কাছে যেয়ে থাকেন, পরে আপনাকে রুট ক্যানেল এর পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে তাহলে রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয় তা জেনে রুট ক্যানেল করতে পারেন। রুট ক্যানেল মূলত দাঁতে শিরশির করা এবং গরম এবং ঠান্ডা খাবারের প্রতি সংবেদনশীল ভাব চলে আসে এবং হালকা ব্যথাও সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুনঃ রাকৃতিকভাবে সুন্দর থাকার উপায়
কিন্তু এই সমস্যার ফলে দাঁত যখন শিথিল হয়ে যায় তখন রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী হয় তা না জেনে রুট ক্যানেলের পর এই ব্যথা ধীরে ধীরে চলে যায়। যখন রুট ক্যানেল গরম হয়ে যাবে তখন এই রুট ক্যানেল দেন্টিস্ট আপনাকে দশ থেকে পনের বছরের কথা বলতে পারে। আপনি যদি রুট ক্যানেল করার পরে দাঁতের যত্ন নিতে পারেন তাহলে এটি আজীবন ভালোও থাকতে পারে।
রুট ক্যানেল এর খরচ
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস করতে পারাটা আপনার দাঁতের জন্য খুবই ভালো একটি বিষয় যে আপনার দাঁত সব সময় নিরাপদে থাকতে পারে। ফ্রুট রুট ক্যানেল এর খরচ একটু বেশিই হতে পারে বিশেষ করে আপনার সরঞ্জামের উপাদানের উপর নির্ভর করে এই খরচ একটু বেশি বা কম লাগতে পারে।
রুট ক্যানেল করার নিয়ম সম্পূর্ণ করতে রুট ক্যানেল এর খরচ আপনার দশ হাজার টাকাও লাগতে পারে অথবা এই খরচের চেয়েও আরও বেশি খরচ দরকার পরতে পারে। আপনি যদি আপনার দাঁতই ফেলে দেন তাহলে ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না। মাঝে মাঝে দেখা যাবে পরিমাণের চেয়েও কম খাওয়া দাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
যার ফলে আপনার শরীরের স্বাস্থ্যও ধীরে ধীরে খারাপ হতে শুরু করবে। ভাই আপনি যদি একটু নিজের সৌন্দর্যকে স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে চান তাহলে রুট ক্যানেল করাটাই আপনার জন্য ভালো হবে। দাঁতের সমস্যাকে দূর করে আপনার নিজেকে একটু আরাম দিতে রুট ক্যানেল খুব কার্যকরী একটি চিকিৎসা।
কখন দাঁতে রুট ক্যানেল করবেন
আপনার যদি দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় সেই সমস্যাকে নির্ণয় করে আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রোগের ধরন অনুযায়ী ডেন্টিস্ট আপনাকে রুট ক্যানেল করার কথা বলতে পারে। দাঁতে রুট ক্যানেল করার জন্য চিকিৎসক আপনাকে অনেক কারণেই বলতে পারে তার মধ্যে হলো কিছু কারণ বিদ্যমান রয়েছে যেমন,
- দাঁতে যদি কোন কারণে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় আর সেগুলো যদি আপনার পুরো দাঁতে ছড়িয়ে পড়ে।
- দাঁতের ভিতরের অংশে সংক্রমণ বেড়ে যেয়ে মাড়িও ফোলে যেতে পারে এই সময় যদি পর্যাপ্ত রক্তপাত হয়।
- ছোট ছোট অনেক গর্ত যদি আপনার দাঁতের গভীরে পাওয়া যায়।
- মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খেলে যদি আপনার দাঁতে ব্যথা অনুভব হয়।
- দাঁতের আশেপাশের বিভিন্ন স্নায়ুমজ্জা যদি ক্ষয় হয়ে যায় তাহলে রুট ক্যানেল করার দরকার পরতে পারে।
- অনেক সময় আপনার দাঁতের সাদা অংশে কালো কালো হয়ে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে যায়, এখন সেগুলোকে অপসারণ করে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হয়।
- দাঁতের গোড়ায় গর্ত হয়ে যেয়ে অনেক সময় পুঁজ হয়ে যায় যা মুখে দুর্গন্ধেরও সৃষ্টি করে থাকে।
- বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় যখন দাঁত আক্রান্ত হয়ে যায় তখন সে আক্রান্তকে দূর করে দাঁতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে রুট ক্যানেল।
- যার জন্য সমস্যা হলেই ডেন্টিস্টের কাছে খুব দ্রুত চলে যাবেন এবং এই সমস্যাগুলোর মাধ্যমে ডেন্টিস্ট নির্ণয় করবেন যে আপনার রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন আছে কিনা।
রুট ক্যানেল সার্জারি কিভাবে করবেন
আপনার দাঁত যদি পূর্ব থেকেই রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রুট ক্যানেল করা হয়ে যায়, তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার যদি কোন রকম সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেই দাঁতকে তুলতে গেলে অনেক বেশি কষ্ট পেতে হয়। আপনার যদি দাঁতের সেই সংক্রমণ আপনি এড়িয়ে চলতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
দাঁতের ভিতরে যদি কোন কারনে সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে আপনার মাড়ি ফোলে যেতে পারে। এই সময় আপনার দাঁতের কোনায় যেই রক্তনালী এবং স্নায়ু রয়েছে তার মাঝখানে স্ফীত সৃষ্টি হয়। এই সময় আপনি চাইলে আপনার দাঁতকে ফেলেও দিতে পারেন অথবা রুট ক্যানেল এর মাধ্যমে আপনার দাঁতকে নিরাপদেও রাখতে পারেন।
দাঁতকে না তুলার জন্যে রূট ক্যানেল এর ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘদিনের ফোলা ভাব এবং ব্যথাকে দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন ডেন্টিস্ট চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। রুট ক্যানেল মাঝে মাঝে ঠিকভাবে কাজ নাও করতে পারে তবে বেশিরভাগই যদি আপনি যত্নে রাখতে পারেন তাহলে কোন সমস্যা নাও হতে পারে।
তাই আপনি যখন রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে রুট ক্যানেল আপনার দাঁতে করাবেন তখন আপনার পাশের দাঁত যেন কোন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই ব্যাপারে আপনাকে খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে। কোন কারনে আপনার রূট ক্যানেল করা দাঁতকে তুলতে হয় তাহলে আপনাকে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে যা পূর্বের চেয়েও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ কেন রোজ অবশ্যই বেদানা খাওয়া দরকার
যখনই আপনার দাঁতে রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস করা হবে তখন আপনাকে দুইটা ইঞ্জেকশন দিতে পারে। ইনজেকশন দেওয়ার পরেও যদি আপনার মাড়িতে ফোলা ভাব সৃষ্টি হয় এবং চোয়ালে ব্যথা করতে থাকে তাহলে সমস্যা আরো বেশি রয়েছে বুঝতে হবে। কারণ আপনার যখন রুট ক্যানেল সার্জারি করা হবে।
তখনও যদি এই ফোলাভাব থাকে তাহলে সেটা কখনোই স্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। নিশ্চয়ই আপনার রুটের কোন ফাঁক দিয়ে সংক্রমনের ঝুঁকি থেকেই যায়। একবার রুট ক্যানেল করানো হলে সেই রাতে যদি আবারও সংক্রমণ হয় তাহলে সেটি সারানো খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই আপনি যখন প্রথমে ডেন্টিস্ট চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন আপনাকে একটি এক্সরে করানো হতে পারে। আপনার রুট ক্যানেল সার্জারি হয়ে যাওয়ার পর অবশ্যই আপনাকে ওষুধগুলো নিয়মিত খেতে হবে। কখনোই আপনাকে শক্ত খাবার খাওয়া যাবেনা এবং জোরে জোরে ব্রাশ করা যাবে না।
হালকা গরম পানি দিয়ে লবণ মিশিয়ে রুট ক্যানেল করার নিয়ম এ কুলি করতে হবে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার। তাই আপনাকে সব সময়ই রুট ক্যানেল সার্জারি করানোর পর থেকে খুবই সাবধানে থাকতে হবে। তাই আপনাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সহকারে খেয়াল রাখতে হবে, যেন কোনভাবেই কোন ধরনের সংক্রমণ আপনার রুট ক্যানেল করা সার্জারির দাঁতে না হয়।
রুট ক্যানেলের সময় ক্যাপ লাগানো কি গুরুত্বপূর্ণ
রুট ক্যানেল করানোর সময় আপনার রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে দাঁতে ক্যাপ লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস এই ক্যাপের প্রয়োজনীয়তা এতটাই বেশি হয়ে থাকে যে আপনাকে সব দিক থেকে এটি নিরাপদ রাখে।
রুট ক্যানেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হল এটি ব্যথা এবং ইনফেকশন হওয়া থেকে আপনাকে বাচায়। আপনার দাঁতের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে নিয়ে আসে। কয়েকটি কারণে এই রুট ক্যানেল করানোর পর ক্যাপ করাতেই হয়।
রুট ক্যানেলে ক্যাপ লাগালে পাশের দাঁতে কি সমস্যা হয়
আপনার যদি দাঁতে রুট ক্যানেল করা হয় তাহলে ক্যাপ লাগাতে হবে। রুট ক্যানেল করার নিয়ম জেনে ক্যাপ লাগানোর জন্য আপনার অন্য কোন দাঁতকে তুলে ফেলে দিতে হবে না। আপনি যে দাঁতের জন্য ক্যাপ পরাবেন সেই দাঁতের স্নায়ু থেকে এক ধরনের মৃত করে ছোট করে তার উপরে ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ পায়ের গোড়ালির জয়েন্টে ব্যথা - পায়ের জয়েন্ট মচকে গিয়ে ইনজুরি
যদি কোনো কারনে ক্যাপ পরানোর সময় দাঁতই না থাকে তাহলে আপনার পাশের যেটি রয়েছে সেটিকে নষ্ট করে ফেলা হয় এবং একসাথে দুইটা দাঁতকে ক্যাপ বসিয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং রুট ক্যানেলে যদি কোনো কারণে গ্যাপ লাগানোর প্রয়োজন হয় তাহলে পাশের দাঁতে কোনরকম সমস্যা হয় না।
রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট স্টেপস
২। ডেন্টাল বাঁধ বসানোঃ
৩। অতিরিক্ত গর্তঃ
৪। সজ্জা অপসারণ করাঃ
৫। খালগুলিকে আকার দেওয়াঃ
৬। খাল ভরাট করে ফেলাঃ
৭। দাঁতকে সিল করাঃ
৮। চূড়ান্তভাবে পুনঃস্থাপনঃ
শেষকথা
আশা করছি, রুট ক্যানেল করার নিয়ম এবং রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্টের স্টেপস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আপনার কাছে বিস্তারিত ভালো লেগে থাকে তাহলে পোষ্টের নিচের অংশে মন্তব্য করুন। আপনার আশেপাশে যাদের দাঁতের সমস্যা রয়েছে তাদের রুট ক্যানেল এর ব্যাপারে সচেতন করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন। ২৫২৭৫
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url