অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায়

আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজ আমি আপনাদের জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায়
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এই বিষয়ে জানলে আপনার ফোনের ইন্টারনাল মেমোরি নিয়ে আর সমস্যা হবে না। চলুন তাহলে শুরু করা যাক অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায়

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায়

আপনি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেছেন? তাহলে আপনাকে স্বাগতম। কারণ আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। বর্তমানে আমরা যে সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি এগুলোর মেমোরি ১৬ জিবি থেকে ৩২ জিবি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ের অ্যাপ, হাই রেজুলেশন ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণের জন্য এই ফোন মেমোরি অল্প সময়েই শেষ হয়ে যায়। এজন্যই আমাদের ফোনে ইন্টারনাল স্টোরেজের বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। তাই আজ আমি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আপনদের সঙ্গে আলোচনা করব। 

অপ্রয়োজনীয় সবকিছু ফোন থেকে সরিয়ে ফেলতে হবেঃ সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে আগে থেকেই অনেক অ্যাপস ইনস্টল করা থাকে যেগুলো বেশিরভাগই মোবাইল ব্যবহারকারী ব্যবহার করে না। আমাদের উচিত যে সমস্ত ইনস্টলকৃত অ্যাপস আমরা ব্যবহার করি না সেগুলো আনইন্সটল করে ফেলাই ভালো। আবার যখন প্রয়োজন হবে তখন অ্যাপসগুলো পুনরায় ডাউনলোড নিলেই হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

এক্সটার্নাল মেমোরি ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবেঃ একথা বললে হয়তো অবাক হবেন যে বেশিরভাগ ব্যবহারকারী যে সমস্ত ফোনে ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমরি থাকে তারা এক্সটার্নাল মেমোরি ব্যবহার করে না। আপনার ফোনে ইন্টারনাল মেমোরি যত বেশি থাক না কেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে মেমোরি ফুল হয়ে যায়। এবং ফোনটি সাধারণ কার্যক্ষমতা ধীরগতির হয়ে যায়। এজন্যই এক্সটার্নাল মেমোরি ব্যবহার করা উচিত। ইন্সটলকৃত অ্যাপের ডাটা, ছবি, ডাউনলোড ভিডিও এগুলো এক্সটার্নাল মেমোরিতে রাখা উচিত। এমন কিছু ছবি বা ভিডিও থাকে যেগুলো সব সময় দেখা হয় না আবার ডিলিট করাও সম্ভব হয় না তাই সে সমস্ত ছবি, ভিডিওর ক্ষেত্রে ওটিজি ড্রাইভ ব্যবহার করা ভালো।  

আরো পড়ুনঃ শাওমি মোবাইল বাংলাদেশ প্রাইস - শাওমি মোবাইল দাম বাংলাদেশ

স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ডাউনলোড বন্ধ রাখতে হবেঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ যাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছে তারা সবাই ব্যবহার করে। মেসেঞ্জার ও whatsapp ব্যবহার করার সময় সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে মিডিয়া ফাইল গুলি ডাউনলোড হওয়া অপশন বন্ধ করে দিতে হবে। যাতে অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল ডাউনলোড হয়ে আপনার মূল্যবান স্টোরেজ নষ্ট না করে।

ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে হবেঃ আপনার ফোনে ইন্টারনাল মেমোরি যত বেশি হোক না কেন আপনার ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করা উচিত। এতে করে আপনার মেমোরির উপরে চাপ অনেক কমে যাবে। ডাউনলোডকৃত ফাইল সময় মতো মুছে ফেলতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বর্তমানে সবকিছুই দেখা যায় ও শোনা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজিটালই কাজ করা যায়। 

যার কারণে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। কম্পিউটার বা ডেস্কটপে আগের মত মানুষ মুভি বা অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখেনা। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে এ সমস্ত বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখার জন্য মোবাইল ফোনের ডাউনলোডকৃত মুভি বা গান আমরা ডিলিট করতে ভুলে যাই। তাই আমাদের উচিত সময় পেলেই ডাউনলোডকৃত সমস্ত মুভি ও গান বা অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান গুলো ডিলিট করে দেওয়া।

ইন্সটলকৃত অ্যাপ কার্ডে মুভ করতে হবেঃ আমরা যখন প্লে স্টোর থেকে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করি তখন তা আমাদের ফোন মেমোরিতে অ্যাড হয়। ডাউনলোডকৃত একটি ইন্টারনাল মেমোরিতে না রেখে এক্সটার্নাল মেমোরিতে মুভ করাতে হবে। অনেকের ধারণা এক্সটার্নাল মেমোরিতে অ্যাপ থাকলে হয়তো ভালোভাবে কাজ করবে না, এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। 

আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন ম্যানেজার অপশনে যেয়ে যে অ্যাপটি কে মুভ করাতে চান তার উপরে ট্যাপ করুন, এবার নতুন উইন্ডো থেকে মুভ টু এসডি কার্ড অপশনে ট্যাপ করে ধরে রাখুন, দেখবেন কিছুক্ষনের মধ্যে অ্যাপটি এসডি কার্ডে ট্রান্সফার হয়ে গেছে। এভাবেও আপনার মূল্যবান স্টোরেজ বাড়াতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি বিশেষ উপায়।

জিওএম সেভার অ্যাপ ব্যবহার করুনঃ এই অ্যাপটিতে কিভাবে অধিক পরিমাণ স্টোরেজ রক্ষা করা যায়, সে কথা মাথায় রেখে অ্যাপটি ডিজাইন করা হয়েছে। আপনার ফোনে থাকা ছবি, ভিডিও ইত্যাদি মুছে ফেলা ছাড়াই আপনাকে অনেক বেশি মেমোরি স্টোরেজ খালি করে দেবে।

আমি উপরে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় এ বিষয় নিয়ে আপনাদেরকে কিছু তথ্য প্রদান করেছি। আশা করি তথ্যগুলো পেয়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

ফোন মেমোরি খালি করার উপায়

ফোন মেমোরি খালি করার উপায় এ বিষয় নিয়ে আমি আজ আর্টিকেলটি লিখবো আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। আমরা যখন androidমোবাইল ফোন কিনি তখন খুব দেখে শুনে কিনি। ফোনটি যখন ব্যবহার করা শুরু করি তখন অল্প দিনে ফোনটি স্লো হয়ে যায় এবং হ্যাং করে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ইন্টার্নাল মেমোরি ফুল হয়ে যাওয়া। আমরা যখন একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল কিনি তখন সেটির মেমোরি ৮ জিবি থেকে ১৬ জিবি মধ্যে হয় যা অল্প দিনেই ফুল হয়ে যায়। তাই ফোন মেমোরি খালি করার উপায় সে বিষয়ে নিম্নে কিছু তথ্য দিলাম।

  • ডাউনলোড থেকে ফাইল ডিলিট করুন।
  • অ্যাপ্লিকেশন আনইনস্টল করুন।
  • Cache মেমরি ক্লিন করুন।
  • ছবি এবং ভিডিও ডিলিট করুন।
  • ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন।
  • ফ্যাক্টরি ডেটা রিসেট করুন।

ফোন মেমোরি থেকে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার

ফোন মেমোরি থেকে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার এ বিষয়ে তথ্য জানার জন্য যদি আপনি আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেন তাহলে আপনি সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন। আজ আমি ফোন মেমোরি থেকে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার এ বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। প্রথমে মোবাইল ফোনে ফাইল ম্যানেজার নামে যে সফটওয়্যারটি আছে সেটি ওপেন করুন। 

আরো পড়ুনঃ নোকিয়ার উত্থান ও পতনের গল্প - নোকিয়ার ইতিহাস জানুন

তারপরে আপনি যে ডকুমেন্টগুলো এসডি কার্ডে নিতে চান সেগুলো মুভ বা কপি করুন, এরপর আপনার ফোন মেমোরি ও এসডি কার্ডের অপশন দেখতে পাবেন, এরপর এসডি কার্ডের উপরে ক্লিক করুন, এখানে আপনি একটি নতুন ফোল্ডার বানিয়ে সে ফোল্ডারে ডকুমেন্ট গুলো নিয়ে যেতে পারবেন। উক্ত আলোচনা থেকে আপনি নিশ্চয় বুজতে পেরেছেন কিভাবে ফোন মেমোরি থেকে এসডি কার্ডে ট্রান্সফার করা যায়।

মেমোরি কার্ড সেটিং

মেমোরি কার্ড সেটিং আপনি যদি মেমোরি কার্ড সেটিং করতে না পারেন, তাহলে আর্টিকেলটি আপনারই জন্য। আজ আমি এই আর্টিকেলে কিভাবে মেমোরি কার্ড সেটিং করতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব। প্রথমে মার্কেট থেকে একটি মেমোরি কার্ড কিনে নিয়ে আসুন, তারপর আপনার অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে দেখবেন মেমোরি কার্ড ও সিম কার্ডের জন্য একটা চেম্বার আছে। 

আরো পড়ুনঃ সঠিকভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বন্ধ না করলে যা ঘটতে পারে

দেখবেন ফোনের সাইডে একটি পিন দিয়ে প্রেস করার মতো একটি জায়গা আছে, সেখানে পিন দিয়ে প্রেস করুন, দেখবেন একটি চেম্বার বেরিয়ে এসেছে সেখানে মেমোরি কার্ডের স্লটে মেমোরি কার্ডটি ভালোভাবে লাগিয়ে দিয়ে চেম্বারটি পুশ করে ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে দিন। এভাবে আপনি আপনার মেমোরি কার্ডটি সেট করতে পারবেন। আশা করি তাহলে আপনার আর মেমোরি কার্ড সেটিং এ আর কোন সমস্যা হবে না।

উপসংহার

এই আর্টিকেলটি জুড়ে আমি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ বাড়ানোর উপায় ও ফোনের মেমোরি সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আশা করি আপনি যে তথ্য জানার জন্য আর্টিকেলটি পড়া শুরু করেছিলেন সে তথ্য আপনি পেয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url